মিঠুন চক্রবর্তী জাত গোখরো হলে মমতা ব‍্যানার্জী জাত বেদিনী - বললেন তৃণমূল প্রার্থী

23rd March 2021 9:36 am বর্ধমান
মিঠুন চক্রবর্তী জাত গোখরো হলে মমতা ব‍্যানার্জী জাত বেদিনী - বললেন তৃণমূল প্রার্থী


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : মিঠুন চক্রবর্তী  জাত গোখরো হলে আমার দিদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জাত বেদেনী। টুঁটিটা টিপে ধরে খাপিতে ভরে নিয়ে ঢুগডুগি বাজাতে বাজাতে দিদি চলে যাবে’।  সোমবার ঠিক এই ভাষাতেই অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে কটাক্ষ করলেন পূর্ব বর্ধমানের ভাতার বিধানসভার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মানগোবিন্দ অধিকারী । তৃণমূল প্রার্থীর এমন বক্তব্যকে করতালি দিয়ে স্বাগত জানান কর্মীসভায় উপস্থিত থাকা তৃণমূলের কর্মী ও সমর্থকরা । বিজেপি নেতৃত্ব এই বক্তব্যের পাল্টা কটাক্ষ করে বলেছেন , মমতা কতবড় বেদেনী তা  ২ মে ভোটের ফল প্রকাশের পরেই প্রকাশ হয়ে যাবে । তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এদিন ভাতার বিধানসভার সাহেবগঞ্জ ব্লকে কর্মীসভার  আয়োজন করা হয় ।সেই কর্মীসভার প্রধান বক্তা ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মানগোবিন্দ অধিকারী। কর্মী সভায় বক্তব্য রাখতে উঠে মানগোবিন্দবাবু অভিনেতা মিঠুন   চক্রবর্তীকে তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করেন । তিনি  বলেন , সম্প্রতি কলকাতায় মোদির সভায় বিজেপিতে যোগদিয়ে অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী বলেছেন,“উনি নাকি জাত গোখরো, এক  ছোবলেই ছবি“। এরপরেই মিঠুন চক্রবর্তীকে কটাক্ষ করে মানগোবিন্দবাবু বলেন , মিঠুন চক্রবর্তী জাত গোখরো হলে আমার দিদি ( মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ) জাত বেদেনী । টুঁটিটা টিপে ধরে খাপিতে ভরে নিয়ে  ঢুগঢুগি বাজাতে বাজাতে দিদি চলে যাবে । 
 মানগোবিন্দবাবু  মিঠুন চক্রবর্তীকে কটাক্ষ করে আরও বলেন ,টিভিতে দেখলাম মিঠুন চক্রবর্তী  নাকি এই রাজ্যের ভোটার হচ্ছেন। তিনি নাকি এই রাজ্যে ভোটে প্রতিদ্বন্দিতা করবেন। দলের কর্মীদের স্নরণ করিয়ে দিয়ে মানগোবিন্দবাবু বলেন , “মিঠুন চক্রবর্তী অনেক দলই করেছেন। প্রথম নকশাল করেছেন। তারপার আমাদের কাছে (তৃণমূলে) এসেছিলেন । আবার চলে গেছেন । এখন ফের আবার বিজেপিতে গিয়েছেন । হয়তো ওনার কিছু পয়সার দরকার আছে ।  কারণ বিজেপিতে অঢেল পয়সা । বিজেপি আপনাদের বাড়ি বাড়িও অঢেল পয়সা নিয়ে আসবে ।  মমতাকে হারাতে এখন মোদি ,যোগী ও নাড্ডারা ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করছেন। তবে 
এইসব করে কিছু লাভ হবে না। ওরা যাই বলুক ,ওদের সব কথাকে   দূরে সরিয়ে রেখে ভাতার সহ গোটা বাংলার উন্নয়নের স্বার্থে ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করতে সবাইকে জোড়া ফুলে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান মানগোবিন্দ অধিকারী । একইসঙ্গে তিনি বলেন , বাংলার সব আশনে প্রার্থী মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলায় ফের তৃণমূল সরকারই 
ক্ষমতায় আসছে বলে এদিন তিনি কর্মীসভা থেকে ঘোষনা করেন । 

 
 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।